Affiliate Program ”Get Money from your Website”

Friday, May 3, 2013

Premature Ejaculation বা দ্রুত বীর্যপাত Solutions

How to increase Sex Period by removing Premature Ejaculation
Premature ejaculation is a common complaint. It is only rarely caused by a physical problem.Premature ejaculation early in a relationship is most often caused by anxiety and too much stimulation. Guilt and other psychological factors may also be involved. The condition usually improves without treatment.
পৃথিবীর সবচাইতে সাহসী ছেলেটি, যে কিনা রোমাঞ্চের আশায় এমনকি এভারেস্টের চূড়োয় উঠে সেখান থেকে সোজা নিচে লাফ দিতেও দ্বিধা করবে না; তাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়,‘তোমার সবচেয়ে বড় ভয় কোনটি?’ তবে ওর উত্তরটা যদি হয় ‘Premature Ejaculation’ তবে কি সবাই খুব অবাক হবেন? না হওয়ারই কথা। কারন আজকালকার অনেক ছেলেরও তাই; তা সে অন্য দিক দিয়ে যতই সাহসী হোক না কেন।
আধুনিক যুগে যৌনমিলনের সংজ্ঞা ও ধরন পরিবর্তিত হয়ে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও আনন্দময় মিলনের তথা বিলম্বিত বীর্যস্খলনের জন্য এক বিশেষ ধরনের অভিযোজন হলেও পূর্বপুরুষের কাছ থেকে বংশ পরম্পরায় আমাদের মধ্যে অনেকেই এই দ্রুত বীর্যপাতের প্রবনতা (Premature ejaculatory tendency) পেয়ে আসছে। এই প্রবনতাকে আধুনিক সময়ের ‘Give & Take’ ও ভালোবাসাময় যৌন জীবনে অভ্যস্ত মানুষের জীবনে একপ্রকার অভিশাপ রূপে দেখা দিয়েছে। কিন্ত এর সমাধান কি করে করা যায় কিংবা আদৌ কোন সমাধান আছে কিনা তা অনেকেরই জানা নেই। ছেলেদের যৌনতার সেই অজানা পরিসরটি নিয়েই আজ আমাদের আলোচনা।
Premature Ejaculation বা দ্রুত বীর্যপাত:
প্রথমেই জেনে নেওয়া দরকার যে Premature Ejaculation বা দ্রুত বীর্যপাত আসলে কি। যৌনমিলনের সময় যোনিতে মৈথুন করা শুরু করার সামান্য কিছুক্ষন পরেই এবং কিছু ক্ষেত্রে যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশের পূর্বেই Foreplayএর মাঝে ছেলেদের বীর্যস্খলন হয়ে যাওয়াকে দ্রুত বীর্যপাত বলে। যাদের এ প্রবনতা আছে বলে ধরা হয় তাদের মূলত যৌনমিলনের মৈথুন বা হস্তমৈথুন করার সময় 1-1.5 মিনিট এর মধ্যেই বীর্যস্খলন ঘটে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় এ সময় সাধারনত 5-7 থেকে 15-20 মিনিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। ছেলেদেরও সামান্য সময়ের এই মিলনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অর্গাজম হয়না। এপ্রসঙ্গে অনেকেরই একটা ভুল ধারনা এই যে ছেলেদের বীর্যপাত মানেই অর্গাজম। কিন্ত প্রকৃতপক্ষে, বীর্যপাত আর অর্গাজম সম্পূর্ন আলাদা দুটি অবস্থা। এটা ঠিক যে প্রায় সব ক্ষেত্রেই ছেলেদের যখনই অর্গাজম হয় তাদের বীর্যপাত ঘটে। কিন্ত অনেক সময় ছেলেটি পরিপূর্ন উত্তেজিত না থাকলে, তার বীর্যস্খলন হলেও অর্গাজম নাও হতে পারে। এরকমটা যারা নিয়মিত হস্তমৈথুন করেন বা করতেন তাদের অনেকেই লক্ষ্য করে থাকবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত একটু পরে বলছি। তার আগে Premature Ejaculation সমস্যা সৃষ্টির কারনগুলো দেখে নেওয়া যাক।
Premature Ejaculation এর কারন:
বেশ কিছু কারনে এই সমস্যা হতে পারে। কারো এ সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে তাই এর কারনগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
১. অত্যধিক হস্তমৈথুন করা দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার অন্যতম কারন। বিশেষ করে বাল্যকালে যখন একটি ছেলে হস্তমৈথুন করার উপায় আবিস্কার করে, স্বভাবতই সে এর ভিন্নধর্মী আনন্দের অনুভূতির প্রতি বেশ আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।আর বাল্যকালে, যেসময় একটি ছেলের বিভিন্ন মানসিক অনুভুতি তীব্রভাবে বিকশিত হতে থাকে, ঠিক সেসময়ই এই দারুন আনন্দের সন্ধান পেয়ে যখন ছেলেটি হস্তমৈথুন করে তখন সে অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে যায়। এত কম বয়েসে এ ধরনের দৈহিক আনন্দের অনুভুতির সাথে সামঞ্জস্য করার জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক পরিপক্কতা ছেলেটির থাকে না। ফলে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে তার বীর্যপাত হয়। ফলে ছেলেটি এভাবেই বারবার হস্তমৈথুন করতে করতে দ্রুত বীর্যপাতের অভ্যাস গড়ে তোলে। আর এছাড়া শুধু বাল্যকালেই নয়, যারা একটু বড় হয়ে হস্তমৈথুন শুরু করেন,তাদের মাঝেও প্রথম প্রথম এটা করার সময় দেখা যায় এতে ধরা পড়ে যাওয়ার একটা ভয় কাজ করে, কারনঅত্যধিক হস্তমৈথুন যারা করেন তারা দেখা যায়, যে কোন কাজের ফাকেও কোন কারনে উত্তেজিত হয়ে উঠলে বাথরুমে গিয়ে দ্রুত উত্তেজনা হাল্কা করে নিতে চেষ্টা করেন। এভাবে সামান্য সময়ের জন্য বাসা খালি পেয়ে অথবা বাথরুমে হস্তমৈথুন করতে গিয়ে মনের মধ্যে যে তাড়া কাজ করে তা দেহের মাঝেও সঞ্চারিত হয়। ফলে দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায়। আর এভাবে অভ্যাস করতে করতেই পাকাপাকিভাবে দ্রুত বীর্যপাত করার প্রবনতা হয়ে যায়।
২. মানসিক অশান্তি, ভয়, দুশ্চিন্তা এসব কিছু দ্রুত বীর্যপাতের অন্যতম কারন। ভয় পেলে ছোটকালে মানুষ যে কারনে প্যান্ট ভিজায় ঠিক একই কারনে, বয়স্কালে দ্রুত বীর্যপাতও হয়ে থাকে। যখন মানুষ ভয় পায়, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে বা কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে থাকে তখন তার শ্বসনহার ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। ফলে যে নার্ভগুলো বীর্স্খলনের উদ্দিপনা যোগায় সেগুলো অতি সহজেই আন্দোলিত হয়ে বীর্যস্খলন হয়ে যায়।
৩. নিজের অনুভুতি সম্পর্কে ভালো ধারনা না থাকার কারনে সবচেয়ে বেশি মানুষের এ সমস্যা হয়। বেশিরভাগ মানুষেরই জীবনের প্রথম বীর্যপাত, তা যৌনমিলন বা হস্তমৈথুন যেভাবেই হয়ে থাকুক না কেন, তা তুলনামূলক দ্রুত হয়। কারন এসময় নিজের দেহের যৌনানুভুতি সম্পর্কে কারো স্পষ্ট ধারনা থাকে না। ফলে তা পরেও আর নিয়ন্ত্রনকরার ক্ষমতা ছেলেটি আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলে। যৌনতাকে উপভোগ করার প্রথম কথা হল এটা হতে হবে রিলাক্স মুডে। পশ্চিমা দেশগুলোতে ছেলেদের হস্তমৈথুন করা নিয়ে আমাদের মত হাজার হাজার ভুল ধারনা নেই বললেই চলে।তাই তারা বেশ আয়েশের সাথে হস্তমৈথুন করে এমনকি গার্লফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করে করেও নিজের যৌনানুভুতি সম্পর্কে সচেতন হয়। ফলে তারা একে নিয়ন্ত্রন করে তাদের বীর্যপাতকে বিলম্বিত করে দীর্ঘ ও আনন্দময় মিলনে মগ্ন হয়।
৪. জীবনে প্রথমবারের মত কারো সাথে সেক্স করতে গেলে একটি ছেলের মধ্যে নিম্নের বেশ কয়েকটি অনুভুতি কাজ করতে পারেঃ
* সঙ্গিনীর সামনে নগ্ন হতে লজ্জাঃ অনেকে হয়ত এটা হেসেই উড়িয়ে দেবেন। কিন্ত অনেক সময় প্রথমবারের মতপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় কারো সামনে নগ্ন হতে অবচেতন মনে হলেও অনেক ছেলের লজ্জা কাজ করতে পারে; বিশেষ করেArranged Marriage এর ক্ষেত্রে এমনটি হয়। এই লজ্জার ফলে যৌনাঙ্গসমূহে স্নায়ু শিহরনের কারনে তা বীর্যপাতকেত্বরান্বিত করে যা সঙ্গিনীর কাছে ছেলেটির লজ্জাকে দ্বিগুন করে দেয়। তাই পরবর্তী মিলনেও এ সমস্যা বারবার হতেই থাকে।
* জীবনে প্রথম নারীদেহ স্পর্শের অতিউত্তেজনাঃ জীবনে প্রথমবারের মত কোন নারীদেহকে স্পর্শ করা একটি ছেলের কাছে দারুন উত্তেজনাপূর্ন হবে তা বলাই বাহুল্য। কিন্ত কোন রকম প্রস্তুতি, আয়োজন ও মেয়েটির সাথে ভাবের আদান-প্রদানের একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে উঠার আগেই দুজনে যৌনমিলনের দিকে ধাবিত হলে (আবারও, Arranged Marriage এর ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়) হুট করে মেয়েটির উত্তেজনাপূর্ন সান্নিধ্য পেয়ে ছেলেটি অতিউত্তেজিত হয়ে পড়তে পারে। যার ফল……আবার সেই দ্রুত বীর্যপাত।
* পর্যাপ্ত Foreplay’র অভাবঃ সেক্স সম্পর্কে যাদের ধারনা বলতে ‘রসময় গুপ্তের চটি’ আর কিছু হলিউডি ‘XXX Video’ তারা প্রথমবার সেক্স করতে গিয়ে প্রকৃত Foreplay এর দিকে তেমন নজর দেয়না। মূলত কত দ্রুত সঙ্গিনীর উরুসন্ধিতে তার আইফেল টাওয়ারকে নিয়ে যাবে সেদিকেই তাদের নজর বেশি থাকে। ফলে পর্যাপ্ত উত্তেজিত না হয়েই। বিশেষ করে লিঙ্গে সঙ্গিনীর হাতের ছোয়া, আদর এসব না পেয়েই সরাসরি তাতে যোনির উষ্ঞ স্পর্শবেশিক্ষন সহ্য করা কি সম্ভব? আবারো তাই একই ফলাফল।
৫. এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক কারনেও দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা হতে পারে। যেমনঃ
* হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা
* থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
* মস্তিস্কে নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা
* প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ এবং সংক্রমন
দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার সমাধান
আগে মনে করা হতো যে PE শুধুমাত্র একটি মানসিক সমস্যা। তবে সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে মানসিক সমস্যার সাথে শারীরিক কারনও রয়েছে। তবে তা দুটি ভাগে বিভক্ত। খুব কম সংখ্যক মানুষের এ সমস্যা থাকে যৌনসক্রিয় কোন অঙ্গের ত্রুটিজনিত, যার নিরাময় করতে সেক্স থেরাপী ও মেডিসিনাল ট্রিটমেন্ট দুটোই একসাথে প্রয়োজন। যে জন্য আপনাকে কোন সেক্স থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। কারন এক্ষেত্রে কাউকে পরীক্ষা না করে তার সমস্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই এ সম্পর্কে এখানে কিছু বলতে পারছি না।
তবে বেশিরভাগ মানুষেরই এ সমস্যা হয় থাকে একই সাথে মানসিক এবং শারীরিক ‘স্পর্শকাতরতা’ সম্পর্কীত সমস্যার কারনে। যা কোনপ্রকার মেডিসিনাল ট্রিটমেন্ট ছাড়াই নিরাময় করা সম্ভব। আর সেক্স থেরাপিস্টরাও প্রথমেইমেডিসিনাল ট্রিটমেন্টের দিকে যেতে চান না। তারা প্রথমে Patient এর মানসিক ও শারীরিক স্পর্শকাতরতা নিয়ে কাজ করে সমস্যাটা শুধু সেদিক দিয়েই কিনা তা নির্ধারনের চেষ্টা করেন। এর মাধ্যমে পরে তারা মেডিসিনাল ট্রিটমেন্ট করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। আমিও মূলত সে দিক দিয়েই এগিয়েছি।
এক্স-১. নিজের দেহকে আবিস্কার করাঃ
মেয়েরা তাদের বয়ঃবৃদ্ধির সময়ই তাদের দেহের বিভিন্ন পরিবর্তন ও যৌনতা নিয়ে সচেতন হয়ে উঠে। বিশেষ করে তাদের রজঃচক্র শুরু হবার পর থেকেই তারা তাদের যৌনতা সম্পর্কে ধারনা পেতে থাকে। মেয়েরা যে ছেলেদের তুলনায় তাদের রূপসজ্জা নিয়ে কতটা বেশি সচেতন তা নিশ্চয় সবাই সচক্ষেই অবলোকন করে থাকবেন। ঠিক তেমনি তারা তাদের যৌনানুভুতি, দেহের স্পর্শকাতরতা এগুলো সম্পর্কেও একইরকম সজাগ দৃষ্টি রাখে। কিন্ত ছেলেরা কি এক বিচিত্র কারনে (আমি নিজেও আগে তাই ছিলাম এবং কারনটা আমিও সঠিক জানি না) যেন নিজের দেহ সম্পর্কে বেশ উদাসিন থাকে। তবে ছেলেরা তুলনামূলকভাবে মেয়েদের তুলনায় একটু বেশি চঞ্চল হয়তো, তাছাড়াআমাদের দেশে মেয়েদের যেমন অতিরিক্ত ঘুরাফেরা, খেলাধুলা ইত্যাদি করার সামান্য হলেও যে বিধি-নিষেধ এখনো চালু আছে, তা ছেলেদের নেই বলে তারা অন্যান্য অনেক কিছুতে সময় ব্যয় করে বলে এদিকটায় তেমন নজর দেয়া হয় না। তাই Premature Ejaculation সমস্যার সমাধানের প্রথম ধাপ হল নিজের দেহ ও এর স্পর্শ কাতরতা সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারনা গড়ে তোলা। এর জন্য সময় পেলে সপ্তাহে একবার, না পেলে মাসে একবার করে অন্তত ৪-৫ বার নিচের এক্সারসাইজটি দিয়ে শুরু করতে হবে।
. প্রথমে যেদিন সময় হয় এমন একদিন সবরকম দৈনন্দিন কাজকর্ম শেষ করে নিয়ে, ঘন্টা খানেকের মত সময় আলাদা করে নিতে হবে। বিশেষ করে ছুটির দিনে হাল্কা করে রাতের খাবার খাওয়ার ঘন্টা তিনেক পরে সবচেয়ে ভালো হয়, কারন সেদিন বেশি কাজকর্ম করতে হয়না বলে দেহে অতটা ক্লান্তি থাকে না। তবে খাওয়া দাওয়ার পূর্বে অলস দুপুর বেলাও বেছে নেওয়া যেতে পারে। আপনার স্ত্রী থাকলে তিনি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন করলে তাকে বুঝিয়ে বলুন কেন আপনার এই একলা সময়টুকু প্রয়োজন।
. রুমের দরজা বন্ধ নিয়ে করে সেলফোন অফ বা সাইলেন্ট করে নিতে হবে, যেন কেউ বিরক্ত করতে না পারে।রুমে যেন তীব্র আলো না থাকে, সবচেয়ে ভালো হয় ডীম লাইট বা এর অভাবে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিলে।
. শীতকাল হলে এ এক্সারসাইজ সবচেয়ে ভালো করা যায়, কারন এসময় দেহ শুষ্ক থাকে। তবে গরমকাল হলেও সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে আগে স্নান করে নেয়া ভালো, রুমে মাঝারি কমিয়ে ফ্যানটা ছেড়ে রাখতে হবে। পেট্রোলিয়াম জেলি,নারিকেল তেল বা অন্য কোন নিরাপদ তৈলাক্ত পদার্থ (অর্থাৎ লুব্রিকেন্ট। তবে সাবধান! সরিষার তেল বা টুথপেস্ট জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে যাবেন না!) তৈরী রাখুন।
. কোন প্রকার তাড়াহুড়ো করতে যাবেন না। পরনের কাপড় খোলার সময় আগে কাপড়ের উপর দিয়ে নিজের দেহে হাত বুলিয়ে দেখুন কিরকম লাগছে। আপনার দৈহিক অনুভুতির প্রতি মনোনিবেশ করুন। এবার ধীরে ধীরে কাপড়গুলো সব খুলে নিন। বিছানায় একটা নরম বালিসে আরাম করে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে কয়েকবার শ্বাস নিয়ে, নিয়মিত ভাবে শ্বাস নিয়ে নিজের শরীরটাকে রিলাক্স করুন। এবার নিজের বুকে দুই হাত দিয়ে (লুব্রিকেন্ট না লাগিয়ে) ম্যাসাজ করতে থাকুন, ফাকে ফাকে আপনার নিপলস এ আঙ্গুল নিয়ে একটু ঘসে দেখুন, ঠোট, গাল, গলা ইত্যাদি অংশে হাত নিয়ে যান। তারপর হাত আস্তে আস্তে নিচে নামিয়ে আনুন। আপনার পেটে, উরুতে, দেহের পাশের অংশে হাত বুলিয়ে সে স্থানগুলোতে কিরকম লাগছে অনুভব করুন। এবার হাতে লুব্রিকেন্ট লাগিয়ে আবার আপনার দেহের বিভিন্ন অংশে হাত বুলাতে থাকুন। আপনার চেস্ট, নাভির কাছে, লিঙ্গের উপরের অংশে, নিতম্বে, উরু ইত্যাদি স্থানে। কিন্তু লিঙ্গকে এড়িয়ে চলুন। এভাবে কিছুক্ষন নিজেকেই নিজে teaseকরুন। মনে রাখবেন, এরকমভাবে নিজেকে আদর করার সময় আপনার মনে যেন কোন সংকোচ বোধ না আসে।নিজের সাথে নিজের আবার কিসের লজ্জা? অন্য কোন মানুষ তো আর আপনাকে দেখছে না। এবার আস্তে আস্তে কিছুক্ষন ধরে আপনার লিঙ্গে হাত দিয়েই আবার সরিয়ে ফেলা এরকম করে তারপর সেখানে মনোযোগ দিন। এক হাত আপনার দেহের উপরাংশে বুলাতে বুলাতে অন্য হাত আপনার লিঙ্গে বুলাত থাকুন। তবে আস্তে আস্তে এবং এরপ্রতিটি অংশে, হস্তমৈথুনের মত করে নয়, অনেকটা তেল মাখানোর মত করে। আপনার খুব যদি ইচ্ছে করে তাও সরাসরি হস্তমৈথুন করা থেকে বিরত থাকবেন। আপনার সারা দেহে এভাবে কি অনুভুতি ছড়িয়ে পড়ছে সেদিকে মনোযোগ দিন। এ সময় আপনার মুখ দিয়ে যদি কোন যৌন আনন্দের শব্দ বের হয়ে আসতে চায় তবে বাধা দেবেন না। এতে আপনার যৌনতায় একটা সহজবোধ্যতা আসবে। এভাবে লিঙ্গে হাত বুলাতে বুলাতে খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে বীর্যপাতের মত অবস্থা হলে লিঙ্গ থেকে কিছুক্ষনের জন্য হাত সরিয়ে অন্য কোথাও যেমন নিচে আপনার অন্ডথলিতে হাত বুলান। অন্য হাত দিয়ে আপনার বাহু, কবজিতে হাত বুলান। এসময় ঠিক কোন স্থানটিতে আপনার হাত গেলেই দেহ বেশ শিহরিত হয়ে উঠছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। প্রথম দিকে চেষ্টা করবেন, যে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস যেন স্বাভাবিক থাকে। কারন যৌনত্তেজনার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়। আস্তে আস্তে আপনার উত্তেজনা কিছুটা বৃদ্ধি পেলে এদিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে আনুন। বীর্যপাতের ইচ্ছা একটু কমে এলে আবার লিঙ্গে হাত নিয়ে যান। এভাবে দুই তিন বারের মত অর্গাজমের দোরগোড়া থেকে ফিরে আসুন। তারপর বীর্যপাত হতে দিন। তবে মনে রাখবেন বীর্যপাত আপনার এই এক্সারসাইজের একটা গৌন অংশমাত্র। এর মূল উদ্দেশ্য হল নিজের দেহের যৌনানুভুতি গুলোর সাথে সহজ হয়ে উঠা।
. বীর্যপাত হয়ে যাওয়ার পর সাথে সাথেই উঠে যাবেন না। ওই অবস্থাতেই কিছুক্ষন আরাম করে শুয়ে থেকে বীর্যপাতের পরবর্তী দেহের রিলাক্স অবস্থাটি উপভোগ করুন। আপনারবুকে, পেটে, নাভীতে বৃত্তাকারে হাত বুলিয়ে দিন। চোখ বন্ধ করে গভীর ভাবে শ্বাস নিন।চাইলে এ অবস্থাতেই হাল্কা ঘুমিয়েও নিতে পারেন। এতে আপনার নিজের প্রতি লজ্জার অনুভুতি অনেকটাই চলে যাবে।
এক্স-২. স্টপ এ্যান্ড গো মাস্টারবেশনঃ
প্রথম এক্সারসাইজটা কিছুদিন করার পরে এটা শুরু করতে হবে।
. প্রথমে আগের এক্সারসাইজের মতই কোন একটা নিভৃত স্থান বেছে নিতে হবে, যেখানে কেউ দেখে ফেলার বা বিরক্ত করার ভয় থাকবে না। হাতের কাছে লুব্রিকেন্ট ও একটা কৌটো জাতীয় কিছু রাখতে হবে।
. এবার যথারীতি ভেজা দেহ থাকলে তা মুছে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর বিছানার কিনারে বা আরামদায়ক কোন চেয়ারে বসে আরাম করে বসে নিতে হবে
. এবার শুধু প্যান্টটা খুলে নিন। গায়ে যেন শার্ট বা গেঞ্জী জাতীয় কিছু থাকে। কিছুক্ষন এক্স-১ এর মত করে দেহে হাত বুলিয়ে সহজ হয়ে নিন। এবার লিঙ্গে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে মাস্টারবেশনের মত করে উঠানামা করানো শুরু করতে হবে। শুকনো হাতের ঘর্ষনটা এক্ষেত্রে টনিকের মত কাজ করবে। এসময় নিয়মিত শ্বাস নেবার চেষ্টা করবেন।আপনার বীর্যস্খলনের সময় এগিয়ে আসা মাত্র লিঙ্গ থেকে হাত সরিয়ে অন্ডথলিতে নিয়ে সেটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকবেন। এতে আপনার বেগ আস্তে আস্তে কমে আসবে। এবার বীর্যপাতের ইচ্ছাটুকু সম্পূর্ন চলে গেলে। আবার লিঙ্গে হাত উঠানামা করাতে থাকুন। এবার আবার বীর্যপাতের ইচ্ছে এলে হাত উঠিয়ে ৫ সেকেন্ড পর লিঙ্গের মাথাতে তালুটা লাগিয়ে সেখানে ম্যাসাজ করতে থাকুন। আপনার একটা অসহ্যরকমের অনুভুতি হবে। তবে সেই সাথে বীর্যপাতের ইচ্ছাও কমে আসবে। এবার আবার হাত নামিয়ে লিঙ্গে মৈথুন করতে করতে এভাবে একবার অন্ডে ও একবার মুন্ডিতে হাত নিয়ে চালিয়ে যান। লিঙ্গে মৈথুন করা ও বীর্যপাতের প্রবনতা আসার সময় যখন বেশি কমে আসবে তখন একহাতের আঙ্গুল দিয়ে লিঙ্গের মুন্ডির ঠিক নিচে রিংয়ের মত করে ধরে মুন্ডিতে অন্য হাতের তালুকিছুক্ষন বুলান, এতে আপনার উত্তেজনায় কমে আসবে এবং লিঙ্গ একটু নরমও হয়ে যেতে পারে। এভাবে নরম হয়ে যাওয়ার পর এবার লুব্রিকেন্ট হাতে নিয়ে উপরের কাজগুলোর পুনরাবৃত্তি করুন। এভাবে ১ ঘন্টার মত চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এরকমটি করার সময় আপনার বারবারই ইচ্ছা হবে হাত বন্ধ না করে বীর্যপাত করে ফেলার।তাই একটু কষ্ট করে এটা সহ্য করে হাত সরিয়ে নিতে হবে।
এক্স-৩. Sensual মাস্টারবেশনঃ এই এক্সারসাইজ মূলত যাদের কোন সঙ্গিনী নেই তাদের জন্য। অবশ্য যাদের আছে তারাও সঙ্গিনীর সাথে এক্সারসাইজ করার আগে এটা করে নিতে পারেন। তবে এই এক্সারসাইজ অনেকের কাছেই বেশ অসস্তিকর লাগতে পারে। কিন্ত কোনকিছু নিরাময়ের জন্য কতকিছুই তো করতে হয় তাইনা?
. এ এক্সারসাইজের জন্য ১ম এক্সারসাইজের মতই প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে এবার প্রথম থেকেই লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে হবে। সাথে একটা কন্ডম রাখা যেতে পারে। কারন বিছানায় শুয়ে শুয়ে করা হবে বিধায় তা যেন বীর্যে ভরে না যায় সেজন্য। তবে কন্ডম পড়লে স্পর্শকাতরতা নিয়ে পরে সমস্যা হতে পারে বিধায় বিছানায় কোন পরিস্কার পুরোনো চাদর বিছিয়ে নেওয়াই ভালো।
. প্রথমে নগ্ন হয়ে বিছানায় রিলাক্সড হয়ে শুতে হবে। তারপর হাতে লুব্রিকেন্ট লাগিয়ে সারাদেহে এক্স-১ এর মত করে ম্যাসাজ করে করে আপনার দেহকে পর্যাপ্ত উত্তেজিত করে নিন। এসময় প্রথমে লিঙ্গে হস্তমৈথুনের মত করে হাত বুলানো যাবে না। একটু উত্তেজিত হয়ে উঠলে এরকমটা চলা অবস্থাতেই এক হাত লিঙ্গে বুলাতে বুলাতে অন্য হাত মুখের কাছে নিয়ে আসুন। নিজের কবজি থেকে শুরু করে বাহুর উপরে যতটুকু পর্যন্ত মুখ যায় জিহবা বুলাতে থাকুন। এরপর বিশেষ করে বাহুর কাছের বিভিন্ন অংশ (যেখানে সাধারনত টিকা দেয়া হয়) একটু একটু করে লাভ বাইটস দেয়ার মত করে মুখ দিয়ে চুষতে থাকুন, তবে ধীরে ধীরে নাহলে লাল স্পট পড়ে যেতে পারে। এবার লিংঙ্গে হস্তমৈথুনের মত করে হাত বুলাতে থাকুন। কিন্ত আপনার সম্পুর্ন মনোযোগ থাকবে আপনার বাহুর উপর। এ অবস্থায় কিছুক্ষন পরপর আপনার হাত পালটে নিন। আর এসময়, বীর্যপাতের প্রবনতা এলে তিন থেকে চার বার মুখের কাজ না থামিয়ে লিঙ্গ থেকে অন্য হাতটি সরিয়ে আনুন। শেষেরবার বীর্যপাতের মাধ্যমে এক্সারসাইজের সমাপ্তি টানুন।
৪. সঙ্গিনীর সাথে ম্যারাথন স্টপ এ্যান্ড গোঃ 
এটা হচ্ছে উপরের এক্সারসাইজ গুলো করার পরে যাদের বিশ্বস্ত সঙ্গিনী আছে তাদের জন্য। আর যারা এখনো বিয়ে করেননি বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে অতটা গভীর সম্পর্কে জাননি তাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারন সঙ্গিনীর সাহায্য ছাড়া পরিপুর্নভাবে প্রিম্যাচিউর এজাকুলেশন নিরাময় করা সম্ভব নয়।এজন্য ওনার কাছে আগেই এ বিষয়ে সব কিছু ব্যাখ্যা করে ওনার সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে।
এই এক্সারসাইজ করার আগে অন্ততপক্ষে ১ সপ্তাহ হস্তমৈথুন বা যৌনমিলন থেকে বিরতথাকতে হবে। আর আপনার সঙ্গিনী যদি কিছুদিন ধরে নিয়মিত জন্মবিরতিকরন পিল খানতবে সবচেয়ে ভালো হয়। নাহলে বাজারে এখন খুব ভাল ইমার্জেন্সী কন্ট্রাসেপটিক পিল পাওয়া যায়। ওগুলোর সেবনবিধি ভালোভাবে জেনে নিয়ে সেগুলো তৈরী রাখতে হবে।কারন, এই এক্সারসাইজটি করার মূল উদ্দেশ্য সঙ্গিনীর সাথে সহজাত অনুভুতির একটা সম্পর্ক গড়ে তোলা। আর কন্ডম দিয়ে সেক্স করলে তা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তাই এজন্য জন্মবিরতিকরন পিল খাওয়ার ব্যাপারেও বেশ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।বিশেষ করে এই কারনেই গার্লফ্রেন্ডের সাথে এই এক্সারসাইজ করতে আপনাদের আমি নিরুৎসাহিত করব। এটা নিজ স্ত্রীর সাথে অনুশীলন করাই সবচেয়ে নিরাপদ।
. সঙ্গিনীর সাথে অভ্যাস করার জন্য প্রথমে ঘরে অত্যন্ত রোমান্টিক একটা পরিবেশ সৃষ্টিকরতে হবে। সন্ধ্যা বেলাটা একসাথে কোথাও ঘুরতে গিয়ে, সিনেমা দেখে কাটান, একসাথে ডিনার করুন। একজন আরেকজনের সংস্পর্শে থাকুন। কাপড়ের উপর দিয়ে হাল্কা পাতলা আদর করে, মিস্টি মিস্টি কথা বলে সহজ হয়ে নিন। রাতে হাল্কা খাবার খেয়ে কিছুক্ষন একসাথে বসে টিভি দেখা বা পুর্নিমার দিন হলে একজন আরেকজনকে ধরে বসে থেকে ভালোবাসার কথা বলুন। এভাবে নিজেদের সাথে সহজ হয়ে নিতে হবে। একজন-আরেকজনের সংস্পর্শে এভাবে থেকে উত্তেজিত না হয়ে বরং একটা রিলাক্স মুডে চলে আসুন।
. বেডরুমে যেন আগের মতই স্বল্প আলোর একটা সুন্দর পরিবেশ থাকে। লুব্রিকেন্ট পাশেই রাখবেন। বেডরুমে গিয়ে ধীরে ধীরে নিজেই নিজের কাপড় খুলে নিন, এবং আপনার সঙ্গিনীকেও ওর কাপড় খুলে নিতে বলুন। দুজনে বিছানায় আরাম করে মুখোমুখি শুয়ে ঠোটে কিস দিয়ে শুরু করুন। এসময় হাল্কা ভাবে দুজনে দুজনের পিঠে হাত বুলিয়ে দিন।অন্য কোথাও যেন হাত না যায়। কিছুক্ষন কিস করে আপনার সঙ্গিনীকে বলুন হাতে লুব্রিকেন্ট মাখিয়ে আপনার লিঙ্গে আদর করে দিতে ও অন্য হাতে আপনার বুক, নাভী, উরু এসব স্থানে হাত বুলিয়ে দিতে। আর আপনিও ওনার গালে, গলায়, বাহুতে জিহবা লাগিয়ে চুষে দিতে থাকুন, এক্স-৩ তে যা আপনি নিজেই নিজেকে করছিলেন। তবে ওনার স্তন ও অন্যান্য যৌনকাতর অংশের দিকে বেশি মনোযোগ দেবেন না কারন তাতে উনি অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে যেতে পারেন। উনি একটু উত্তেজিত হয়ে গেলেই আপনার হাত থামিয়ে ওনার ঠোটে আপনার ঠোট just লাগিয়ে রাখুন। চুমু খাওয়ার দরকার নেই। এভাবে কিছুক্ষন পর আপনার বীর্যপাতের প্রবনতা এলে ওনাকে থামতে বলুন।এবার কিছুক্ষন ওনার দেহে হাত বুলিয়ে ওনাকে উত্তেজিত করে তুলুন। আপনার বীর্যপাতের প্রবনতা একটু কমে এলে আবার ওনাকে বলুন আপনার দেহে ও লিঙ্গে হাত বুলিয়ে দিতে। এভাবে কয়েকবার করার পর বীর্যপাত করাতে পারেন।
. বীর্যপাতের পরও এক্স-১ এর মত করে আপনার সঙ্গিনীকে আপনাকে আদর করা বন্ধ করতে মানা করুন।আপনিও ওনাকে হাল্কা পাতলা আদর করে উৎসাহ দিন। এরকম করতে করতেই আরো একবার আপনার লিঙ্গ শক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ওকে চালিয়ে যেতে বলুন। এক্ষেত্রে দেরী হলে, আপনার সঙ্গিনী যদি দ্বিধাবোধ না করেন তবে দরকার হলে ও্নাকে কিছুক্ষন আপনার অনুত্তেজিত লিঙ্গকে চুষে দিতেও বলতে পারেন। তবে শক্ত হওয়ার পর সেখানে শুধুই ওনার হাত থাকতে হবে। এবার আবার সম্পুর্ন এক্সারসাইজের পুনরাবৃত্তি করে বির্যপাতের মাধ্যমে শেষ করুন। এত দীর্ঘ সময়ের এক্সারসাইজে আপনার সঙ্গিনী বেশ অধৈর্য ও যৌনত্তেজনায় কাতর হয়ে উঠবেন।দ্বিতীয়বার বীর্যপাতের পর এবার আপনি আপনার সঙ্গিনীকে যতভাবে সম্ভব উত্তেজিত করে তুলুন। ওনার যৌনাংগুলোতে আদর করে ওনাকে অর্গাজম করিয়ে দিন (আমার লেখা মেয়েদের যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গ সম্পর্কীত প্রবন্ধটি পড়ে এ সম্পর্কে আশা করি আপনার ভালোই ধারনা হয়েছে?)। ওনাকে এভাবে আদর করতে করতে আশা করা যায় আপনিও তৃতীয়বারের মত উত্তেজিত হয়ে উঠবেন। এবার কিছুক্ষন আপনার সঙ্গিনীকে আপনার লিঙ্গে আদর করতে দিয়েই তাকে আর নিরাশ না করে মিশনারী পজিশনে গিয়ে তার যোনিতে লিঙ্গ দ্বারা মৈথুন করা শুরু করুন। তবে বেশ ধীরে ধীরে এবং উত্তেজনাকে যথাসম্ভব দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এক্স-১ ও ২ ঠিকমত অনুশীলন করে থাকলে আসা করি এতে আপনার খুব বেশি সমস্যা হবে না। এবার যখনি আপনি টের পাবেন আপনার বীর্যপাতের সময় এগিয়ে আসছে, তখনি যোনির গভীরে আপনার লিঙ্গকে রেখে দিয়ে সবরকম নাড়াচাড়া থামিয়ে দিন, আপনার সঙ্গিনীকেও থামতে বলুন (It’s break time sweetheart!) আস্তে আস্তে বীর্পাতের ইচ্ছে মিলিয়ে যেতে শুরু করলে উল্টিয়ে গিয়ে আপনার সঙ্গিনীকে আপনার উপরে নিয়ে আসুন, তারপর আবার মৈথুন করতে থাকুন। আবার বীর্যপাতের ইচ্ছে এগিয়ে আসলে, আগের মত নড়াচড়া বন্ধ করে দিন। এবার আবার ওনাকে উলটেআপনার নিচে এনে এভাবে যতক্ষন সম্ভব চালিয়ে যেতে হবে।
. এবার আশা করা যায় আপনার বীর্যপাত কিছুটা হলেও বিলম্বিত হবে। তবুও আপনার বীর্যপাত সঙ্গিনীর অর্গাজমের আগেই হয়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে (আগেই বলছি এ নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা করবেন না। Just relax)। তাই আপনার বীর্যপাত হয়ে গেলে ওনার যোনিতে ওরাল সেক্সের (ঠোট ও জিহবা ব্যবহার করে) মাধ্যমে আদর করে অর্গাজমে নিয়ে যান।
. এভাবে এক সপ্তাহ পর পর এটি মাসখানেক অনুশীলন করলে আশা করা যায় আপনি অবশ্যই সুফল পাবেন।এই এক্সারসাইজগুলো মূলত প্রিম্যাচিউর এজাকুলেশন নিরাময়ের প্রাথমিক পর্যায়ের। বেশিরভাগেরই এই এক্সারসাইজেই আস্তে আস্তে বীর্যপাতের সময় বাড়তে থাকে। তবে প্রিম্যাচিউর এজাকুলেশনের সবচেয়ে কার্জকরী সমাধান করা যায় পিসি মাসল (PC Muscle) এর এক্সারসাইজের মাধ্যমে।মানুষ তার প্রস্রাব আটকাতে তার পেলভিক অঞ্চলের যে পেশিটি ব্যাবহার করে তার নামই পিসি মাসল। বেশিরভাগ মানুষেরই জন্মগতভাবে এই মাসল তুলনামূলক দূর্বল থাকে। এই মাসলকে শক্তিশালী করে তুলে এর মাধ্যমে ছেলেদের অর্গাজমের সময়ও বীর্যপাতকে থামিয়ে দেয়া যায় (আগেই বলেছি অর্গাজম আর বীর্যপাত একসাথে হতেই হবে এমন কোন কথা নেই, এরা একেঅপরের সাথে সম্পর্কীত হলেও আসলে দুটি আলাদা ঘটনা)। যার ফলে একবার অর্গাজম হয়ে যাওয়ার পরও বীর্যপাত না হওয়াতে ছেলেটির লিঙ্গের উত্থান অটুট থাকে বলে সে মেয়েটির অর্গাজম না হওয়া পর্যন্ত মৈথুন করে গিয়ে এর মাঝে আরো একটি-দুটি অর্গাজম করে শেষেরবার বীর্যস্খলন করাতে পারে। শুনতে গল্পের মত মনে হলেও বাস্তবে আসলেও এটা সম্ভব। বিশ্বাস না হলে আপনারা ইন্টারনেট ঘেটে দেখতে পারেন। বিদেশে অনেক ছেলে এটা চেষ্টা করে সফল হয়েছে। যাদেরপ্রিম্যাচিউর এজাকুলেশন সমস্যা না থাকলেও ১৫-২০ মিনিট মৈথুন করে সঙ্গিনীকে সন্তুষ্ট করতে পারেন না তারাও এটা চেষ্টা করতে পারেন। এর জন্য বয়সও তেমন বড় কোন ফ্যাক্টর নয়।মোটামুটিভাবে ১৭-৫৫ বছর বয়েসের যে কেউ এটা করে সুফল পেতে পারেন। একে ছেলেদের মাল্টিপল অর্গাজম বলা হয়।

No comments:

Post a Comment

Make Money

Affiliate Program ”Get Money from your Website”

INFORMATION BD

INFORMATION BD
By Lotiful Akram