কলুর ছেলে এই রানা! সংখ্যালঘুর জমি দখল করে ভবন বানায় রানা!!
সাভারের ভবন ধসের ঘটনায় দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত নাম সোহেল রানা। ধসে
পড়া আটতলা বিল্ডিং রানা প্লাজার মালিক তিনি। সাভারের এক সময়ে যুবলীগ
নেতা, ক্ষমতা আর দখলের রাজনীতি করে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক।
দখলবাজির হাত থেকে রেহাই পাননি সংখ্যালঘুরাও। সাভারে যে ভবনটি ধসে পড়েছে
সেখানেও রয়েছে এক সংখ্যালঘুর সম্পত্তি।
স্থানীয় সূত্রে জানা
যায়, সোহেল রানা পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, বাবা আবদুল খালেক।
আব্দুল খালেক এক সময় কলু ছিলেন, সবাই তাকে খালেক কলু বলেই চিনতেন। এই
সোহেল রানা তার বাবার তেলের ঘানিতে কাজ করতেন। পায়ে হেঁটে বোতলে সরিষার
তেল বিক্রি করতেন। বাড়ি সাভারের বাজার রোডে। তাদের বাড়িটিকে এখনো কলুর
বাড়ি হিসেবেই চেনে স্থানীয়রা।
হঠাৎই দৃশ্যপট বদলে যায় কলুর ছেলে রানা বনে যান কোটিপতি। বর্তমানে ২৮-৩০
বছর বয়সের এই যুবকের পৌর এলাকায় রানা প্লাজা, রানা প্লাজা-২ নামের একটি
চারতলা মার্কেট ছাড়াও নামা বাজারে মিয়া অয়েল মিল নামে একটি তেল কারখানা
রয়েছে। সবই হয়েছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর।
দুই বোন এক
ভাইয়ের মধ্যে সোহেল রানা দ্বিতীয়। স্থানীয় অধরচন্দ্র হাইস্কুল থেকে নবম
শ্রেণী পাস করেছেন রানা। এরপর অভাবের তাড়নায় তার আর লেখাপড়া হয়নি।
প্রথমে গরুর ঘানি থেকে একটি তেল তৈরির মেশিন বসান। গোলাপ ফুল মার্কা নামের
সেই সরিষার তেল সরবরাহ করা হয় রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায়। সেই রানা আজ
কোটি টাকার মালিক।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে আওয়ামী
লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে সোহেল রানা দখল করেন স্থানীয় রবীন্দ্রনাথ সাহার
জমি। সেখানে ডোবার ওপরে রানা প্লাজা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় ওই বছরই।
রবীন্দ্রনাথ সাহা আদালতে মামলা করলেও সে মামলা বেশিদূর এগোয়নি। একপর্যায়ে
পাগল হয়ে যান রবীন্দ্রনাথ সাহা। ২০০৬ সালে পৌরসভা থেকে ছয় তলা ভবনের
অনুমোদন নেয়া হয়। তবে ২০১০ সালে মার্কেট উদ্বোধন করা হয় এবং ২০১২ সালে
পৌরসভা থেকে আবার ১০ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন নেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাভারের অসংখ্য মানুষের জমি জোরপূর্বক দখল করেছেন
তিনি। স্থানীয় প্রশাসন তার খেলার পুতুল। এলাকায় তার রয়েছে বিশাল বাহিনী।
এই বাহিনী সাভারের বেশির ভাগ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা যায়।
সোহেল রানাও ধসে পড়া ভবনে আটকা পড়েছিলেন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য তৌহিদ
জং মুরাদ এসে তাকে উদ্ধার করেন। তবে তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা
জানা যায় নি।
তথ্য সংগ্রহ- আমাদের বন্ধু Damien Tushar
No comments:
Post a Comment